ই স্ক্রিন ডেস্ক :
নতুন সম্পর্কের শুরু হয় মুগ্ধতা দিয়ে, সেই সম্পর্কের ইতি ঘটে শুদ্ধতার অভাবে! সম্পর্কের অবনতি বা ইতি যাই ঘটুক না কেন সেখান থেকে বেরিয়ে আসা বড় দ্বায়। সেই সম্পর্ক যদি হয় স্বামী-স্ত্রী তাহলে তো ভুলবার নয়। এক দম্পতির ডিভোর্সের আগে ও পরের এমন গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘সুতো’।
সাংবাদিক, নাট্যকার অপূর্ণ রুবেলের গল্প ও চিত্রনাট্যে নাটকটি নির্মাণ করেন ইমরাউল রাফাত। শুক্রবার বিকেলে চ্যানেল আই-তে প্রচারের পর ‘সুতো’ এসেছে ইউটিউবে। নাটকটির এই গল্প প্রায়ই চারপাশে দেখা যায়। একটি স্বচ্ছ-শুদ্ধ সম্পর্ক মানুষের সাংসারিক জীবন ও আত্মার শান্তির জন্য কতটা প্রভাব ফেলে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘সুতো’য়।
অপূর্ণ রুবেল বলেন, এখন আমাদের চারপাশ এরকম ঘটনা অনেক ঘটে। আমরা সম্পর্ক গড়ি সম্পর্ক ছাড়ি। কিন্তু চাইলে কি সম্পর্ক থেকে বের হওয়া যায়? কিছু সম্পর্ক তো সুতোর মতো হয়ে আমাদের জীবনে আটকে থাকে। এটা নিয়েই গল্প।
”প্রচারের পর অনেকে নাটকটি দেখে প্রশংসা জানাচ্ছেন। কেউ ফোনে জানাচ্ছেন, কেউ ম্যাসেঞ্জারে লিখছেন, কেউ আবার নাটকটি ফেসবুকে শেয়ার করে উৎসাহ জানাচ্ছেন। সবার মন্তব্য দেখছি, ইউটিউবের কমেন্ট বক্সে মন্তব্যেও স্পর্শ করছে।”
‘সুতো’ নাটকের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন ইরেশ যাকের, সাবিলা নূর, পার্থ শেখ। আরও আছেন সাবেরি আলম ও শিশু শিল্পী রঞ্জনা। ৪৫ মিনিটের এ নাটকটি ক্লাব ইলিভেনের ইউটিউবে প্রচারের পর দেড় লক্ষাধিক দর্শক দেখেছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিন’শ-এর কাছাকাছি মন্তব্য চোখে পড়েছে।
‘সুতো’ দেখে সঞ্চিতা মৌ নামে উদাহরণ দিয়ে লিখেছেন, মন ও শরীর দুইভাবে ভালোবাসা যায়। তবে মনের ভালোবাসা যে সবসময় দামি এবং তা শরীরের ভালোবাসা পরাজিত সেটা এই নাটকের মাধ্যমে দারুণভাবে দেখানো হয়েছে।
শম্পা চক্রবর্তী নামে একজন লিখেছেন, ‘সুতো’ অসাধারণ একটি নাটক। এখান থেকে শিক্ষনীয় বার্তা আছে। দাম্পত্য সম্পর্কের ভাঁজে ভাঁজে নিজেকে চেনার কত কত কাহিনী লুকিয়ে থাকে! ধন্যবাদ পরিচালক, নাট্যকারসহ শিল্পীদের।
রিয়াদ উদ্দিন নামে একজন প্রবাসী দর্শক লেখেন, নাটকটি দেখে মনটা ভরে গেল। গভীর কাহিনি কিন্তু পরিচ্ছন্ন উপস্থাপন, গল্পের কিছু কিছু মূহুর্ত আমার জীবনের সঙ্গে মিলে যায়। এমন নাটক নির্মাণ করার জন্য এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে সেলুট।